[বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় স্রষ্টাদের মধ্যে শুধু পুরুষ নয়, নারীও রয়েছেন। তাঁদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে আমাদের সাহিত্য ভুবন। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধÑসব ধরনের রচনাতেই নারীরা সৃজনশীলতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। এমনকি সংস্কৃতিতেও। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির সেইসব স্মরণীয় নারী এবং তাঁদের কীর্তির কথাই এই ধারাবাহিক রচনায় তুলে ধরা হয়েছে।]
১৯৪৮ : অন্যান্য নারী নেত্রীদের সঙ্গে নিয়ে সুফিয়া কামাল পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমিতি গড়ে তোলেন। সভানেত্রী হন সুফিয়া কামাল। যুগ্ম সম্পাদিকা হন দুই কমিউনিস্ট নারী, যুঁইফুল রায় ও নিবেদিতা নাগ। মহিলা সমিতিই ১৯৬৯ সালে গণ-আন্দোলনের পটভূমিতে হয় পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সংগ্রামী পরিষদ এবং ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদ, যা আজ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
১৯৪৯ : লতিকা সেন (১৯১১-১৯৪৯) বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম নারী সদস্য। শ্রমিক আন্দোলনের বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা রণেন সেনের পত্নী। লতিকা সেন ১৯৪৯-এর ২৯ এপ্রিল পুলিশের নির্বিচার গুলিতে আহত হয়ে পরে মারা যান।
১৯৫০ : ইলা মিত্র—তিন ভাগের দুই ভাগ ফসল কৃষকের এই দাবি নিয়ে বেগবান তেভাগা আন্দোলনের প্রধান নেত্রী, যিনি আদিবাসীসহ সকল মানুষের কাছে ‘রানী মা’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার ওপর জেলখানায় ১৯৫০ সালে পাকিস্তানি পুলিশের নৃশংস ও অকথ্য পাশবিক অত্যাচারের আজও কোনো তুলনা নেই।
১৯৫০-এর দশক : ঢাকায় প্রথমবারের মতো রওশন জামিল, লায়লা হাসান, লায়লা সামাদ, বেগম রোকেয়া কবীর, কুলসুম হুদার মতো অভিজাত পরিবারের মেয়েরা রীতিমতো শিল্পকলার স্কুলে গিয়ে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়ে নৃত্যে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তাদের নৃত্যের সমজদার দর্শক শুধু দেশের মঞ্চে নয়, ভিড় জমায় দেশের বাইরে দূরদুরান্তের জনপদেও। গ্রামীণ পটভূমিকায় গীতিনাট্য যেমন পরিবেশিত হতো, ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যও পরিবেশিত হতো।
১৯৫১ : সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে ‘ঢাকা শহর শিশু সমিতি’ গঠিত হয়।
১৯৫৪ : ভাষাআন্দোলনে নারীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন যাঁরা তাঁদের প্রথম সারিতে আছেন ডঃ হালিমা খাতুন, ড. শফিয়া খাতুন, রওশন আরা বাচ্চু, জুলেখা নুরী, সুফিয়া ইব্রাহিম। এ ছাড়া ‘বটতলার উপন্যাস’ খ্যাত লেখক ও শিক্ষাবিদ রাজিয়া খান আমিন ও তার বড় বোন কুলসুম হুদা, সারা তৈফুর ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাআন্দোলনের সমর্থনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
১৯৫২ : ক) লায়লা সামাদ বাংলাদেশের প্রথম মুসলমান নারী যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমাধারী। খ) ১৯৫২ সালে লায়লা সামাদ ঢাকার দৈনিক সংবাদ-এ যোগ দেন। তিনি ছিলেন দৈনিক পত্রিকার প্রথম বিভাগীয় নারী-সম্পাদক।
১৯৫২ : অলিম্পিকে সাঁতারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান প্রথম বাঙালি মেয়ে আরতি সাহা হেলসিঙ্কিতে। এর পরে বাংলার কোনো মেয়ে অলিম্পিক সাঁতারে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।
১৯৫৪ : আশাপূর্ণা দেবী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী ও লিজা পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৫৪ : যুক্তফন্ট্রের প্রার্থী হিসেবে আইন পরিষদে নূরজাহান মোর্শেদ, দৌলতুন্নেসা খাতুন, বদরুন্নেসা আহমেদ, আমেনা বেগম, সেলিনা বানু, রাজিয়া বানু, তফতুন্নেসা, মেহেরুন্নেসা খাতুন প্রমুখসহ ১২ জন নারী যাচ্ছে মধ্যে ৯ জন মুসলমান নারী প্রথমবারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হন।
১৯৫৬ : বাংলাদেশের (পূর্ব বাংলার) চলচ্চিত্রে প্রথম নারী পূর্ণিমা সেনগুপ্তা (এর আগে নারী চরিত্রে পুরুষ বা গণিকারা অভিনয় করতেন)
১৯৫৬ : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথম মুসলিম নারী জহরৎ আরা ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবিতে অভিনয় করেন।
১৯৫৭ : নভেরা বাংলাদেশের প্রথম নারী ভাস্কর। ভাস্কর্যশিল্পের একজন অগ্রদূত এবং প্রথম বাংলাদেশি আধুনিক ভাস্কর। প্রখ্যাত ভাস্কর হামিদুর রহমানের সঙ্গে তিনি শহীদ মিনারের প্রাথমিক ডিজাইন তৈরি করেন এবং ১৯৫৭ সালে যখন মিনারটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, হামিদুর রহমান ও নভেরা সরাসরি এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ভাস্কর্যশিল্পে অবদানের জন্য নভেরাকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করা হয়।
১৯৫৮ : অরুণা আসফ আলী দিল্লির প্রথম নারী মেয়র (১৯৫৮) ও প্রথম নারী যিনি লেনিন শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৫৯ : প্রথম ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হয়েছেন বাঙালি নারী আরতি সাহা (গুহ) ১৯৫৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তাঁর আগে এশীয় মহাদেশের আর কোনো মেয়ে এই কাজ করতে পারেন নি।
১৯৬০ : লোকসভার সদস্য সুচেতা কৃপালনী ভারতে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী (১৯৬০) হন। তিনি ১৯৬০-১৯৬৭ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি আচার্য কৃপালনীর সঙ্গে বিবাহের পরে কংগ্রেসের রাজনীতিতে আসেন।
১৯৬৪ : বাংলাদেশ টেলিভিশনে (এই অঞ্চলে প্রথম টেলিভিশন কেন্দ্র) প্রথম নারী শিল্পী ফেরদৌসী বেগম (রহমান)।
১৯৬৫ : মঞ্জুলিকা চাকমা বাংলাদেশের আদিবাসী সমাজে প্রথম শিল্পোদ্যোক্তা। সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি মানুষদের মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা তো দূরের কথা ব্যবসা-বাণিজ্যের কথাও চিন্তা করত না। দুটি মাত্র তাঁত নিয়ে অর্থাৎ ৫০০ টাকার পুঁজিকে ভর করে তাঁর ব্যবসা শুরু করেছিলেন মঞ্জুলিকা যা আজ কোটি টাকার বস্ত্রশিল্পে পরিণত হয়েছে। আদিবাসী বস্ত্রশিল্পে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মঞ্জুলিকা বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৬৭ : সুমিতা দেবী বাংলাদেশের প্রথম নারী চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯৬৭ : প্রথম নারী চলচ্চিত্র পরিচালক মঞ্জু দে। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘অভিশপ্ত চম্বল’।
১৯৭০ : বাংলাদেশে প্রথম নারী চলচ্চিত্র পরিচালক রেবেকা (বিন্দু থেকে বৃত্ত)।
১৯৭১ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম নারী শহীদ মেহেরুন্নেসা।
১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বর। সাংবাদিক ও রাজনীতি সচেতন সেলিনা পারভীন ছিলেন আসন্ন বিজয় দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সেই নারী যাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া এবং যাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পরে বধ্যভূমিতে আবিষ্কৃত হয়।
১৯৭১ : মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্যে প্রথম ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব লাভকারী নারী ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম (সেনাবাহিনী) ও মোসাম্মৎ তারামন বিবি (গণবাহিনী)।
১৯৭৩ : বাংলাদেশের ইতিহাসে মন্ত্রিসভায় প্রথম নারী মন্ত্রী নুরজাহান মোর্শেদ ও বদরুন্নেসা আহমেদ।
১৯৭৪-১৯৭৫ : নীলিমা ইব্রাহিম—বাংলা একাডেমির প্রথম নারী মহাপরিচালক। ১৯৬৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০০০ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। সবচেয়ে আলোচিত বই ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’।
১৯৭৪ গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী : বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রথম নারী উদ্যোক্তা। ১৯৭৪ সালে অ্যাডকম বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৫ : পশ্চিম বাংলার প্রথম নারী রাজ্যপাল হন সরোজিনী নাইডুর কন্যা পদ্মজা নাইডু।
১৯৭৫ : প্রথম নারী যিনি অক্সফোর্ড থেকে ১৯৭৫ সালে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন—কেতকী কুশারী ডাইসন।
১৯৭৬ : আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্যে প্রথম নারী যিনি জ্ঞানপিঠ, রবীন্দ্র পুরস্কার ও পদ্মশ্রী উপাধি অর্জন করেন। বাংলার নারীদের মধ্যে সাহিত্যের জন্যে এগুলোই প্রথম জাতীয় পুরস্কার।
১৯৭৭ : বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা।
১৯৭৭ : প্রথম বাঙালি নারী যিনি সাহিত্য আকাদমীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি হলেন মৈত্রেয়ী দেবী তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘ন হন্যতে’র জন্যে।
১৯৭৮ : ক) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহই বাংলাদেশের প্রথম নাগরিক যিনি ১৯৭৮ সালে রেমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার লাভ করেন। গ্রামীণ নারীর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন। খ) বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ্। গ) এনজিও ফোরামের নির্বাহী কমিটির সভাপতি, ব্র্যাকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞ তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ্। তিনি মুক্তিযুদ্ধে লাঞ্ছিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্যে, তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কর্মক্ষম করে তোলার জন্যে নানাবিধ ট্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা করেন।
১৯৮১ : চলচ্চিত্রকার হিসেবে যে বাঙালি নারী বহু পুরস্কারসহ প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন- তিনি অপর্ণা সেন ।
১৯৮৫ : দাবায় প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা গ্রান্ডমাস্টার রানী হামিদ। শুধু বাংলাদেশে নয়, কমনওয়েলথ ও এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দাবা খেলোয়াড় ও ক্রীড়াবিদ।
১৯৮৭ : বাংলার প্রথম নারী ইঞ্জিনিয়ার ইলা মজুমদার, ১৯৮৭ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করেন।
১৯৮৯ : আশাপূর্ণা দেবী প্রথম নারী বিশ্বভারতী থেকে যিনি ‘দেশীকোত্তম’ উপাধি অর্জন করেন।
১৯৯১ : বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
১৯৯১ : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রথম নারী বিরোধীদলের নেতা শেখ হাসিনা।
১৯৯২-১৯৯৪ : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (১৯২৯-১৯৯৪) অসাধারণ নেতৃত্ব।
১৯৯৪ : সাহিত্য আকাদমীর ফেলোশিপ অর্জন করেন আশাপূর্ণা দেবী।
১৯৯৪ : তসলিমা নাসরীন প্রথম বাঙালি নারী যাঁর নারী ও সংখ্যালঘুর অধিকার নিয়ে লেখাকে কেন্দ্র করে এবং ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একদল মৌলবাদীর পক্ষ থেকে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হলে তাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হতে হয়। তাঁর লিখিত কয়েকটি গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তিনিই প্রথম এবং একমাত্র বাংলার নারী যিনি নিম্নলিখিত আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা সম্মাননা পেয়েছেন : ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট থেকে মুক্তচিন্তার জন্য শাখারভ পুরস্কার, সহিষ্ণুতা ও শান্তি প্রচারের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার, ফরাসি সরকারের মানবাধিকার পুরস্কার, সিমোন দ্য বোভোয়া পুরস্কার, সাহিত্যের জন্য দু’বার আনন্দ পুরস্কার, বেলজিয়াম এবং ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারবার সাম্মানিক ডক্টরেট।
১৯৯৬ : বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম নারী উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নাজমা চৌধুরী।
১৯৯৬ : বাংলাদেশে প্রথম নারী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
১৯৯৬ : বিবি রাসেল বাংলাদেশের প্রথিতযশা ফ্যাশন ডিজাইনার যিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম করেছেন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে ‘উইভারস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ফ্যাশন শো করেন। তিনি গামছা ও গ্রামীণ চেককে পশ্চিমী জনগণের কাছে শিল্পসম্মত ও জনপ্রিয় করে তোলেন।
১৯৯৮ : লর্ড সভায় প্রথম ও একমাত্র বাঙালি ব্যারনেস পলা মনজিলাউদ্দীন হাউস অব লর্ডসে লেবার পার্টির একজন সক্রিয় ‘পিয়ার’ হিসেবে ঘোষিত হন ।
১৯৯৯ : বাংলাদেশের সমাজসেবী এনজিও কর্মকর্তা নারী এঞ্জেলা গোমেজ সমাজসেবার জন্যে প্রথম ম্যাগসেসাই পুরস্কার পান ১৯৯৯ সালে।
Leave a Reply
Your identity will not be published.