নীল ধ্রুবতারা (পর্ব ২০)

নীল ধ্রুবতারা (পর্ব ২০)

[এই পত্রোপন্যাসটি মূলত দুজন মানুষের গল্প। ফাহিম আর সিমির। একজন থাকে আমেরিকায়, অন্যজন বাংলাদেশে। একটা অনাকাঙ্খিত ই-মেইলের কারণে দুজনের পরিচয় হয়েছিল। ভুল থেকে পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব, তারপর বিচ্ছেদ। এর মাঝে ই-মেইলে দুজন অসংখ্য পত্র আদান-প্রদান করেছে। সেইসব পত্রে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ-অপছন্দ, মনস্তত্ত্ব— সবই ফুটে উঠেছে। আজ পড়ুন ২০তম পর্ব।]

প্রথম পর্ব  দ্বিতীয় পর্ব  তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব পঞ্চম পর্ব 
ষষ্ঠ পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব নবম পর্ব দশম পর্ব পর্ব ১১ পর্ব ১২ 
পর্ব ১৩ পর্ব ১৪ পর্ব ১৫ পর্ব ১৬ পর্ব ১৭ পর্ব ১৮ পর্ব ১৯

ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজ, মায়ের চিকিৎসা, আত্মীয়স্বজন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, দাওয়াত খাওয়া আর অফিসের কাজের ব্যস্ততায় ফাহিমের সময় কেটে যাচ্ছিল রকেটের গতিতে। এরমাঝেই ফাঁকে ফাঁকে সুযোগ পেলেই দেখা করল সিমির সাথেও। আবার দিনে একবার তাদের দেখা হলেও থেমে থাকল না টেক্সট মেসেজ আর ফোনে কথা বলা। আর এভাবেই মনের অজান্তেই দুজন চলে এল দুজনের বেশ কাছাকাছি।

কাজের ফাঁকে কথার মাঝে এক অপার্থিব ভালোলাগার উষ্ণ পরশ খুঁজে পেল ওরা দুজন।

ভালোই কাটছিল ওদের দিনগুলি। কিন্তু প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই ওদের আলাদা হতে হলো। ফাহিমের তিন সপ্তাহের ছুটি চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল। দিনগুলি আর সোনার খাঁচায় রইল না। থেমে গেল ওদের একসাথে রিকশায় করে গন্তব্যহীন ঘুরে বেড়ানো কিংবা পাশাপাশি বসে থাকা আর গল্প করা। ভালোলাগার মুহূর্তগুলো যে কেন এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়!

সিমির একাকীত্ব ভরা মন নিয়ে যখন ফাহিমের সাথে ওর পরিচয় হয়, তখন একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। নিজের না-বলা কথাগুলো বলার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে সিমি আর সেখান থেকেই মন জানাজানিটাও হয় খুব দ্রুত। যেখানে মনের আবদ্ধ কথাগুলো বেরোনোর জন্য ছটফট করে সেখানে অজানার দূরত্ব বোধহয় খুব তাড়াতাড়িই কমে আসে। সিমিও তার ব্যতিক্রম নয়। মনের ঝাঁপি খুলে নিজের না-বলা কথা উজার করে দেয় ফাহিমের কাছে। ফাহিমও বলে নিজের পরিস্থিতির কথা। ইমেইলে যোগাযোগ আর মাঝে মাঝে ফোনে কথা, তার বেশি কিছু তো ছিল না ওদের মাঝে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ওদের অদেখা নামহীন অদৃশ্য বন্ধুত্ব একটু একটু করে সুদৃঢ় হতে না হতেই ফাহিমের দেশে আসা।

সিমি ভাবতেও পারে নি ফাহিমের সাথে একবার দেখা হলে সবকিছুই এমন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাবে। নিমিষেই তরল হয়ে যাবে তার মনের দৃঢ়তা। তবে বেশিদূর এগুবার আগেই ফাহিমের চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেল। এটাই বোধহয় প্রকৃতির নিয়ম। 

সিমির খুব ইচ্ছে ছিল, অন্তত ফাহিমের চলে যাওয়ার দিন সে এয়ারপোর্টে যাবে।

কাছে যেতে না পারলেও অন্তত দূর থেকে হলেও একবার দেখা হবে। সিমি জানে ফাহিমের বোন আর ভগ্নিপতিই ওকে তুলে দিয়ে আসতে যাবে। তবুও সে জিজ্ঞেস করল, ‘আমি যদি এয়ারপোর্টে যাই তুমি মাইন্ড করবে?’

‘আরে কী বলো, মাইন্ড করব কেন?’ অবাক কণ্ঠে বলল ফাহিম। ‘কিন্তু এত ঝামেলা করে এয়ারপোর্টে যেয়ে কী হবে বলো? আমি তো তোমার সাথে থাকতেও পারব না।’

‘জানি।’

‘তাহলে কেন যেতে চাইছ?’

‘জানি না।’ বলেই অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল সিমি। কী এক চাপা কষ্ট আঁকড়ে ধরল তাকে।

ফাহিম আর কিছু বলল না। তার মনটাও ভারী হয়ে আছে। কেমন শূন্য শূন্য লাগছে। সেও উদাস নয়নে তাকিয়ে রইল অন্য দিকে।

ফাহিমের ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল রাত এগারোটায়।

কোনো এক বিচিত্র কারণে ফাহিমের চলে যাওয়ার দিনটিতে সিমি একবারের জন্যও ফাহিমের সাথে কোনো যোগাযোগ করল না। না ফোন, না টেক্সট মেসেজ। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা আর লাগেজ গোছানোর ফাঁকে ফাঁকে ফাহিম বেশ কয়েকবার ফোন খুলে দেখেছে। নাহ, সিমির কোনো মিস কল নেই। কোনো মেসেজও নেই। ফাহিমকে ঘিরে আছে বাসার সবাই। শেষ মুহূর্তের আদর-আপ্যায়ন চলছে। তাই ফোন করতে না পারলেও সমস্ত ব্যস্ততার মাঝে ফাহিম কয়েকবার টেক্সট করেছে সিমিকে। কিন্তু সে কোনো উত্তর দেয় নি।

লাগেজের ওজন মাপতে গিয়ে দেখা গেল, দুটো লাগেজই ওভার-ওয়েট কয়েক পাউন্ড করে। ফাহিমের নিজের জিনিসপত্রের চেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের অনুরোধের আইটেম হয়ে গেল বেশি। কোনটা রেখে কোনটা নেবে, কারটা রেখে গেলে কে মন খারাপ করবে। প্রতিবার আসা-যাওয়ার সময় এই করেই ভ্রমণের দিনটি কেটে যায়। রীতিমতো যুদ্ধ চলে লাগেজের ওজন ঠিক করতে গিয়ে। আর এভাবেই চলে যাওয়ার দিনটি ঝড়ের গতিতে শেষ হয়ে যায়।

‘ভাইয়া, লাগেজ গাড়িতে তোলা হয়েছে। তুমি রেডি হয়ে নাও।’

লীনা এসে তাড়া দিল ফাহিমকে। ফাহিম ঘড়ি দেখল। সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেছে কখন বুঝতেই পারে নি সে। ‘আচ্ছা ঠিক আছে, তুই যা, আমি আসছি।’

লীনা চলে যেতেই ফাহিম চিন্তিত ভঙ্গিতে ফোন করল সিমিকে। ফাহিমকে অবাক করে দিয়ে মাত্র এক রিং হতেই অপরপ্রান্ত থেকে ফোন ধরল সিমি। যেন এই ফোনটির অপেক্ষাতেই সে ছিল সারা দিন। আবেগে কেঁপে ওঠল তার শরীর। আবেগ ব্যাপারটা এমন যে একে চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কোনো কথা না বলে চুপ করে রইল সিমি। কিছু না বললেও তার ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ স্পষ্ট বুঝতে পারল ফাহিম। সে নিজেও যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে উঠল। ওপাশে অনেকক্ষণ নীরবতা এবং দীর্ঘশ্বাস। সিমি নিশ্চুপ থাকায় যে কয়েক মুহূর্তের নীরবতা নেমে এসেছিল, তা ভাঙল ফাহিম। একটু সময় নিয়ে সে বলল, ‘কী হয়েছে সিমি? তুমি ঠিক আছ?’

‘হ্যাঁ।’ অস্ফুটে বলল সিমি। কণ্ঠ বেশ ভারী।

আবারও নীরবতা। ওদের কেউই কোনো কথা খুঁজে পেল না। অথচ মনের মাঝে দুজনেরই সহস্র শব্দের ফুলঝুরি ঝুটতে থাকল।

‘ভাইয়া, দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।’ লীনা দরজায় এসে আবার তাড়া দিল।

আরও কিছুক্ষণ নীরব থেকে ফাহিম বলল, ‘যাই তাহলে।’

ভাঙা কণ্ঠে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিমি বলল, ‘যাই না। বলো আসি।’

‘আচ্ছা আসি। ভালো থেকো।’

‘তুমিও ভালো থেকো, ফাহিম।’

ফাহিম সহসাই ফোনটা কেটে দিতে পারল না। সিমির ভারী নিঃশ্বাসের শব্দ ভেসে এল। ফোনটা হঠাৎ করেই ডেড সাইলেন্স হয়ে গেল। সিমি ফোন কেটে দিয়েছে। ফাহিম ফোনটার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ তারপর দ্রুত হেঁটে গিয়ে উঠে বসল অপেক্ষমাণ গাড়িতে।

ফাহিমের মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল। অনেক চেষ্টা করেও নিজের মনটাকে স্থির করতে পারল না সে। কোনোভাবেই সিমিকে তার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারল না। ওর মন বলছে সিমি বুঝি এই তাকে ফোন করে। কিন্তু না, কোনো ফোন এল না। ফাহিমের নিজেরও ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিল সিমিকে আরেকবার ফোন করতে। আর একটু কথা বলতে। তার মনের এই ইচ্ছেটাকে সে প্রশ্রয় দিল না। এই অনুভূতি বড় অন্যরকম। 

রাত এগারোটার সময় সিমি গিয়ে দাঁড়াল তার ছোট বারান্দায়।

গ্রিল ধরে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আকাশের দিকে— ঢাকা এয়ারপোর্টের আকাশ। নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় সিমিদের বাসা। এয়ারপোর্ট খুব বেশি দূরে নয়। তার দৃষ্টি সেদিকেই। উদাস নয়নে কী যেন ভাবছে সিমি। তার কাছে খালি খালি লাগছে সবকিছু। তার পৃথিবীটা হঠাৎ করেই শূন্য হয়ে গেছে। ঘনঘন দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে তার চারপাশ।

আকাশে মেঘ করেছে। আজ মেঘ করেছে আয়োজন করে। যেন মেঘ উঁচু গলায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছে, ওহে নগরবাসী, তোমরা দেখো। তাকাও আমার দিকে।

আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সিমির উড়োজাহাজের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় যখন কোনো প্লেনের শব্দ শুনত, জানালার কাছে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখত। যতক্ষণ দেখা যেত, পলকবিহীন তাকিয়ে থাকত।

হঠাৎ মেঘ ফুঁড়ে তীব্র শব্দে উড়ে গেল একটি প্লেন। ক্রমশই দূর থেকে চলে গেল আরও দূরে। যতক্ষণ দেখা গেল সে তাকিয়ে রইল প্লেনটির দিকে। কেন তাকিয়ে তাকল সে, সিমি জানে না।

একসময় প্লেনটি মিলিয়ে গেল দূর আকাশে। চলে গেল দৃষ্টিসীমার বাইরে। মুহূর্তেই আকাশটা কেমন শূন্য হয়ে গেল। শূন্য হয়ে গেল সিমির মনের আকাশটাও।

সেদিন রাতেই সিমি ইমেইল লিখল ফাহিমকে।

গভীর রাত। অনেক চেষ্টা করেও সিমি দু’ চোখের পাতা এক করতে পারল না। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে নানা ছবি। ক্ষণে ক্ষণে মনের অজান্তে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে এই ক’দিনের নানা স্মৃতি। ফাহিমের ভূত মাথা থেকে যাচ্ছে না কিছুতেই। সিমি উঠে বসল। ল্যাপটপটা খুলে লিখতে শুরু করল।

ফাহিম, প্রাণের বন্ধু আমার—

তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ— বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে হবে ভাবতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ন হয়ে ওঠে। আচ্ছা, এমন কেন হয়?

বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর তাই বুঝি প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট।

এত কষ্ট! এত কান্না! এত হাহাকার! কেন?

তবে কি বিদায় শুধুই বিরহের? প্রিয় মানুষটিকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার? বিদায়ের ক্ষণটি সে জন্যই কি ব্যথাভরা? সে জন্যই কি বিদায়বেলায় কারও ‘সজল করুণ নয়ন’ নত হয়ে থাকে বেদনায়? কী জানি।

বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্মলগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরও কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে! হায়, এক জীবনে কত রকমের, কত ধরনের, কত বিচিত্র বিদায়ের ভার বহন করি আমরা। কখনো বিদায় দিই, কখনো বিদায় নিই। একটি বিদায় পেছনে ফেলে যায় কত প্রিয় মুখ, কত চেনা চেহারা। কত নীরব দৃষ্টি, কত কথা। কত স্মৃতি।

বিদায়ের বেদনা কার বেশি? যে বিদায় নেয়, তার? নাকি যে বিদায় দেয়, তার? নাকি দু’ পক্ষই সমান বেদনাভারে কাতর? একই দুঃখে দুঃখী হয়ে একই সমান কষ্ট পায়?

বিদায়েরও কি তবে কিছু দায় থাকে? বিদায়ে কি শেষ হয়ে যায় সব? নাকি বিদায়ের পর শুরু হয় আরেক নবতর যাত্রা? অনেক জিজ্ঞাসা, অনেক প্রশ্ন। সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না। জীবনভর কত বিদায়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয় আমাদের!

প্রিয়জনকে আমরা হয়তো কখনোই বিদায় দিতে চাই না। পারলে কলিজার ভেতর, অন্তরের গহিনে তাকে বেঁধে রাখি। কিন্তু চাইলেই কি তা পারা যায়? প্রিয় মানুষরাও তো জীবন শূন্য করে দিয়ে বিদায় নেয়। তাদের অভাবে আমাদের জীবন মুহূর্তের জন্য নীরব-নিথর, নিস্তব্ধ হয়ে যায়।

বিচ্ছেদ বেদনাদায়ক, নিঃসন্দেহে। একজন কেউ হঠাৎ করেই জীবনের সাথে মিশে গেল, তার অস্তিত্বে ধারণ করল এবং তারপর চলে গেল। মনের গভীরে কোথাও না কোথাও একটা শূন্যতাবোধ সৃষ্টি হয়ই। সৃষ্টি হয় একটা ভয়াবহ হাহাকার। হঠাৎ করেই দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছাড়া সম্ভব কি? হয়তো সম্ভব, কিন্তু ভীষণ কষ্টের। যার সাথে নিজের জীবনের সব সুখ দুঃখ শেয়ার করা যায়— তাকে বিদায় দেয়াটা মোটেও সহজ বিষয় নয়।

আমাদের জীবনটা বড়ই বিচিত্র। জীবনে ভালো কিছুর সূচনা ত্যাগের মাধ্যমে আসে। সুতরাং আমি খুব স্বাভাবিকভাবে সবকিছুকে মেনে নিয়ে তোমার বিদায়কে বরণ করে নিচ্ছি— হয়তো আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে, কে জানে!

তোমাকে মিস করব অনেক। জানি তুমি সব সময় আছ এই হৃদয়জুড়েই— তবুও।

আমাদের বন্ধুত্বের ইতি হবে না কখনো জেনে রেখো। সময়ের বিবর্তনে বহুদিন কেটে যাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়তো। তবুও মনের মন বলছে দূরে চলে গেলেও তুমি আছ, কাছেই আছ, পাশেই আছ। তুমি থাকবে কাছেই, পাশেই।

তোমার ফিরতি যাত্রা শুভ হোক। আমার শুভ কামনা তোমার জন্য নিরন্তর।

তুমি কি জানো, তোমার মঙ্গল কামনায় নিশিদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখি আমি?

ভালো থেকো বন্ধু।

ইতি তোমার বর্ষা, তোমার সিমি— সেই রহস্যময়ী মেয়েটি।

পূনশ্চ: ফাহিম, আমি জানি, এই ইমেইলটি আমার মনের এলোমেলো ভাবনা আর বিষাদের কথায় ভরে আছে। পড়তে পড়তে তোমার মনটাও হয়তো ভারী হয়ে যাবে। কিন্তু কী করব বলো, সব সময় কি আর লাগাম টেনে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়? আমরা তো জন্মান্তরের বন্ধু হয়েছি, একসাথে কষ্টগুলো ভাগ করে নেব বলেই। আমার মনের এই অস্থিরতাকে কি তুমি প্রশ্রয় দেবে না?

(চলবে…)

Leave a Reply

Your identity will not be published.