[এই পত্রোপন্যাসটি মূলত দুজন মানুষের গল্প। ফাহিম আর সিমির। একজন থাকে আমেরিকায়, অন্যজন বাংলাদেশে। একটা অনাকাঙ্খিত ই-মেইলের কারণে দুজনের পরিচয় হয়েছিল। ভুল থেকে পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব, তারপর বিচ্ছেদ। এর মাঝে ই-মেইলে দুজন অসংখ্য পত্র আদান-প্রদান করেছে। সেইসব পত্রে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ-অপছন্দ, মনস্তত্ত্ব— সবই ফুটে উঠেছে। আজ পড়ুন নবম পর্ব।]
কুড়িতে পড়তে না পড়তেই, আমি একজন নিখুঁত মানুষের প্রেমে পড়ে যাই। দুই বছর প্রেম করে আমরা গাঁটছাড়া বাঁধি। আমাদের বিয়ের গল্পটা সত্যিই সিরিয়াস কিছু। তোমাকে পরে বলব এক সময়।
একটা দুর্ঘটনার পর থেকে আমার শাশুড়ি বিছানায় পড়ে ছিল প্রায় ৬ মাসেরও বেশি। পুরো বাড়ি এবং সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে আমার কাঁধে। আমার বয়স তখন মাত্র বাইশ বছর।দুই বছর যেতে না যেতেই রাশেদের পাকস্থলীতে একটা সমস্যা দেখা দেয়। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল, মানুষটার জন্মই হয়েছে একটা কিডনী নিয়ে এবং সেটাও ঠিকমতো কাজ করছে না, এক অর্থে অচল। এ কথা জানার পর, হঠাৎই কেউ যেন আমার চোখ দুটো কালো পর্দায় মুড়ে দিল। সবকিছু কেমন ঝাপসা হয়ে এলো চারিদিকে। যেদিকে তাকাই, শুধুই অন্ধকার। সবকিছুই কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। তবুও আমি আশা ছাড়ি নি এক মুহূর্তের জন্য। বিশ্বাস করো ফাহিম, আমার মুখ থেকে একবারের জন্যেও হাসি মুছে যায় নি। সত্যি কথা বলতে কী, রাশেদকে যখন ভর্তি করালাম চেন্নাইয়ের ভেলর হাসপাতালে, কিডনি বায়োপ্সি করার জন্য, আমার মুখের ওই হাসিটুকুই ছিল তার জন্য উপহার স্বরূপ।
তারপর কতদিন চলে গেছে, কত স্মৃতি নিয়ে। আমাদের বিবাহিত জীবনটা ছিল অন্যরকম—এক কথায় ঈর্ষণীয়।কোনো পার্টিতে গেলে সবাই আমাদের দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাত। আমি রাশেদের দিকে তাকাতাম, নিজে নিজেই গর্বিত হতাম। অহংকারী হতাম। ভাবতাম, আমার হাত ধরে থাকা এই মানুষটি আমার স্বামী। আমার খুব ভালো লাগত। অনেক ভালোবাসতাম সেই অনুভূতি।
পাঁচ বছর পর, রাশেদের কিডনি যখন আর নিতে পারছিল না,তখন ডায়ালাইসিস শুরু করতে হলো। রক্ত পরিশোধনের একটি আধুনিকতম প্রক্রিয়া হচ্ছে ডায়ালাইসিস। কিডনি যখন অতিমাত্রায় বিকল হয়ে পড়ে, তখন এটি করতে হয়। যখন ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তখন রোগীর চিকিৎসার জন্য কিডনি সংস্থাপন ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় থাকে না। এ অবস্থায় রোগীকে বাঁচানোর জন্য ডায়ালাইসিস করতে হয়। কাজেই একবার ডায়ালাইসিস শুরু করলে পরবর্তী সময়ে সেটি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তখন ডায়ালাইসিস না করা মানে অকালে মৃত্যুর প্রহর গোনা।
শুরু হলো আমার দুঃস্বপ্নের দিন। সে দিনগুলির কথা আমি আর মনে করতে চাই না। আমার জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক আর কষ্টের সময়। তার আগে আমি বুঝতেই পারি নি, ওই মানুষটাকে আমি কত ভালোবাসতাম! বুঝতে পারি নি, ওই মানুষটা ছাড়া আমার আর কেউ নেই। অথচ তাকে একটু ভালো রাখবার জন্য কিছুই করতে পারছিলাম না আমি। এতটা অসহায়ত্ব আমি আমার জীবদ্দশায় আর কখনোই অনুভব করি নি। আহ, সেই কষ্টের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। কষ্ট মানুষকে কাঁদায় না, নীরব করে রাখে। আমিও নীরবে পাথর হয়ে গেলাম অনেকটাই।
আমি আমার জীবনকে বাজি রাখলাম, যে কোনোভাবেই হোক, আমি রাশেদকে সুস্থ করে তুলবই কিন্তু বুঝতে পারি নি, সৃষ্টিকর্তা বাজি ধরা পছন্দ করেন না। তিনি চান নি, রাশেদ আমার জীবনে থাকুক এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো ক্ষমতাই আমাদের নেই।
আমার পুরো জীবন যেন উত্তাল সমুদ্রে ডুবে যাওয়া এক কাগজের নৌকা। আমার স্বপ্ন ছিল সমুদ্রের মতো বিশাল, আর বাস্তবতা ছিল কাগজের নৌকার মতো ঠুনকো। আমি তাকে হারালাম। আমার হাজারো চেষ্টা ব্যর্থ করে সে চলে গেল।
শেষ বিকেলের পশ্চিমাকাশে ডিমের কুসুমের মতো সূর্যটা যখন হেলে পড়ে, ধীরে ধীরে হলুদ থেকে লাল হয়ে যাওয়া নির্জীব ও নির্মল সূর্যটা বিদায় নেওয়ার পূর্বে শেষ বারের মতো মেঘের মধ্য থেকে মাথা বের করে তার কুসুম বর্ণ রূপ দেখাবার জন্য আরেকবার উকি দেয়—তারপর আচমকাই দিগন্তে ডুবে যায়। এখন আমি দিগন্তরেখায় এক অস্তগামী সূর্য ছাড়া আর কিছুই নই। আমার জীবনটা ধীরে ধীরে দিগন্তরেখার নিচে ডুবে যাচ্ছে অস্তগামী সূর্যের মতোই।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো, বেলা যে ফুরিয়ে যায়
কখন যেন হঠাৎ করেই চলে যেতে হবে
সময়ের হাতে বুঝি সময় আর বেশি নাই!
আজ আমাকে লেখায় পেয়ে বসেছে। আমি বেশ বুঝতে পারছি এই মেইলটি অনেক বড় হয়ে গেছে। কী জানি এমন দীর্ঘ লেখা পড়তে পড়তে তোমার চোখ জ্বালা করবে কি-না। যদি বোর ফিল করো তার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তোমাকে বোর করার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই।
আমার ঘুম পাচ্ছে। তোমার সঙ্গে কালকেই চ্যাট করতে চাই। দেখা দেবে তো ?
আজ আমার মনটা ভীষণ খারাপ। তুমি আমাকে সুন্দর করে একটা চিঠি দেবে। যে চিঠি পড়ে আমার মন ভালো হয়ে যাবে।
ভালো থেকো হে প্রিয়। ভালোবাসায় থেকো—ভালোবাসায় রেখো। সব সময়।
সিমি।
It's not what's happening to you now or what has happened to you in your past that determines who you become. Rather, it's your decisions about what to focus on, what things mean to you, and what you're going to do about them that will determine your ultimate destiny. –Anthony Robbins
প্রিয় সিমি,
তোমার মেইলটি পড়ার পরে আমি একরকম অসাড় হয়ে গেছি। আই লস্ট মাই সেনসিটিভিটি। মনে হচ্ছে কেউ যেন একটা ধারালো বস্তু আমার হার্টে ঠুকে দিয়েছে। আমি ভীষণ মর্মাহত হয়েছি। গভীর অন্তর্বেদনায় ভুগছি। তোমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্যেই সমবেদনা বা সহমর্মিতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কীই-বা করতে পারি! এর চেয়ে বেশি কিছু লিখতেও যে পারছি না। জীবনে এই প্রথম কারও চিঠির উত্তরে কী লিখব তা ভেবে দিশেহারা হচ্ছি।
কিছু কিছু সময়ে শুধু লিখে বা ফোনে সত্যিকারের আন্তরিকতা বোঝানো যায় না। খুব কাছে এসে মাথাটা বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে সমবেদনা জানাতে পারলে মনে হতো কিছুটা কষ্টের ভাগ নিতে পেরেছি। কিন্তু চাইলেই তো আর সেটা সম্ভব না।
মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই, সৃষ্টিকর্তা কেন এত নিষ্ঠুর হয়! কেন এত কষ্ট দেয়। এভাবেই কেন?
আমার ব্যস্ততার কারণে আমি আজকেও একটা দীর্ঘ মেইল লিখতে পারব না জানি। ভীষণ দুঃখিত। তবে আমি চেষ্টা করব লিখতে না পারলেও অন্তত ফোনে তোমার সঙ্গে কথা বলতে। অ্যান্ড দ্যাটস এ প্রমিজ। কথা বলব কী, আমার তো এখনই ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে তোমার কাছে। ইচ্ছে হয়, শক্ত করে জড়িয়ে ধরি তোমাকে। শুষে নিই তোমার সব কষ্ট!
আমি খুবই ব্যস্ত থাকব কিছুদিন। তবে যত ব্যস্তই থাকি না কেন, আমার মনটা কিন্তু পড়ে থাকবে তোমার কাছেই। তোমার পাশে। ইনভিজিবল হয়ে।
তোমার অনাগত দিনগুলিতে আমাকে পাশে পাবে সব সময়। সে আমি যত দূরেই থাকি না কেন ?
তোমাকে তো বলা হয় নি, আমার হার্টটা কিন্তু বেশ বড়। আই মিন লিটারেলি, বিগ। আই হ্যাভ বিন ডায়াগনোজড অ্যাজ কার্ডিয়াক এনলার্জমেন্ট। কাজেই আমার হৃদয়ের কোনো এক কোণে তোমার জন্য একটু জায়গা নিশ্চয়ই হবে।
তোমার হাসি দেখতে ইচ্ছে করে। খুব। কবে দেখব?
যখনই মন খারাপ হবে জানিয়ো, আমি কল দেব। তোমার যদি কথা বলতে ইচ্ছে হয়, তাহলেও জানিও।
এখন যাই। ভালো থেকো।
অনেক অনেক ভালোবাসা।
ফাহিম।
যথারীতি ঘুম থেকে উঠেই অফিসের যাবার আগে সিমি মেইল চেক করতে বসল। ফাহিমের কোনো মেইল নেই। ফাহিমকে অনলাইনেও দেখা গেল না। একটু মন খারাপ করে সে অফিসে গেল। কাজের ফাঁকে কয়েক দফায় মেইল চেক করল, না নেই।
কাজ থেকে ফিরে সিমি গোসল সেরে, কী মনে করে একটা তাঁতের শাড়ি পড়ল। সিমি কখনো তেমন একটা সাজগোঁজ করে না। রাতের খাবার শেষ করে মেইল খুলে বসল সে। ফাহিমের কোনো উত্তর নেই। আবারও হাওয়া হয়ে গেছে মানুষটা। কিছুটা আনমনা হয়ে বসে থেকে আবারও একটা মেইল লিখতে বসল আর ঠিক তখনই ফাহিমের ইমেইল এল।
সিমি দ্রুত কয়েকবার মেইলটি পড়ল তারপর ধীরেসুস্থে একটা উত্তর লিখল।
সাবজেক্ট লাইনে লিখল, ‘না জানি কেনরে এত দিন পর জাগিয়া উঠিল প্রাণ।’
ফাহিম প্রিয় বন্ধু আমার,
কেন যেন মনে হচ্ছে আমার দীর্ঘ চিঠি পড়ে তোমার মন খারাপের মতো কিছু একটা হয়েছে। আমার কারণে তোমার মন খারাপ হোক, সেটি আমার কাম্য নয়। তুমি জানতে চেয়েছিলে বলেই আমি আমার জীবনের কিছু কথা তোমায় বলেছি। বিশেষ করে আমার দুঃখের স্মৃতিগুলো তোমার সাথে ভাগ করে নিয়েছি। আমার অনেক সুখের স্মৃতিও আছে, যা আমার মাথাকে সোজা এবং উঁচু রাখতে সাহায্য করে। আমি আমার সারা জীবন সেই স্মৃতিগুলো রোমন্থন করেই বেঁচে থাকতে পারব। আমি সত্যিই ভীষণ আনন্দিত, তোমার মতো একজন বন্ধু আছে আমার। আমাকে নিয়ে তোমার ভাবনা আমাকে আপ্লুত করে। আমার ইচ্ছে, আমাদের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক সারাজীবন। থাকবে ইনশাল্লাহ।
আমার কী মনে হয় জানো ফাহিম, আল্লাহ কখনোই নির্দয় হয় না। আমি জানি না তুমি কতটা আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী তবে আমার শতভাগ বিশ্বাস রয়েছে তার ওপর। এবং আমি এও বিশ্বাস করি, তিনি যাই করেন না কেন, তার পেছনে একটা কারণ থাকে। তিনি যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি আমার ভাগ্যের জন্য আল্লাহকে কখনোই অনুযুক্ত করি না। কী জানি, হয়তো তার কোনো বেটার প্ল্যান আছে আমাকে নিয়ে। তার চেয়ে বড় স্ক্রিপ্ট রাইটার তো আর কেউ নেই। আমার কী সাধ্য, সেই স্ক্রিপ্ট আমি এডিট করি?
আশা করি তুমি তোমার ফ্যামিলির সাথে সময়টা ভালোই কাটাচ্ছ। তোমার মা কি তোমার সাথে শিকাগোতেই থাকেন? আর তোমার বাবা? তোমার ফ্যামিলি লাইফ সম্পর্কে জানিয়ো। এবং তোমার স্ত্রীর কথাও। দেখে তো মনে হচ্ছে সে খুবই ফ্রেন্ডলি পারসন। আমি জানি না, তোমাকে আগে কখনো বলেছি কিনা, তোমার বৌ কিন্তু ফাটাফাটি সুন্দরী। তোমরা ছেলেরা যাকে বলো হট, সে কিন্তু সেই লেভেলের হট। আর তোমার মেয়ে? তার কথাও জানিয়ো।
তুমি আমাকে নিয়ে এত ভাবো, বিষয়টা ভাবতেও ভালো লাগে। নিজেকে এখন আর একা মনে হয় না। আমি কোনো কিছু নিয়েই আর উতলা হই না। আবগে তাড়িত হয়ে কষ্টও পাই না। দিন শেষে এটা ভেবে ভালো লাগে যে, দূরে হলেও কেউ একজন আছে যার ওপর আমি ভরসা করতে পারি। তোমার ওপর, কেন জানি না, অজান্তেই ভরসা জন্মে গেছে। এই ভরসা আমাকে একটু হলেও কিছু অতিরিক্ত শক্তি জোগায়, সাহস দেয়। জীবনকে এগিয়ে নিতে এই অতিরিক্ত সাহস আর শক্তিটুকুর ভীষণই প্রয়োজন। অনেক ধন্যবাদ ফাহিম। তোমার কাছে অনেক ঋণি হয়ে যাচ্ছি। জানি না এসব ঋণ কী করে শোধ দেব! যদি দেখা হয় কোনোদিন, কী নেবে জানিয়ে দিয়ো আগেভাগেই।
তোমার হার্টের সমস্যার কথা জেনে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়েছি। আল্লাহর কাছে অনেক প্রার্থনা করছি, তিনি যেন সব সময় তোমাকে সুস্থ রাখেন। তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি, হৃদযন্ত্রের যে-কোনো সমস্যাকে হালকাভাবে দেখো না। আবারও বলছি। এটা অনেকটা আমাদের মনের মতোই। যে-কোনো মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে। রাশেদেরও এনলার্জড হার্ট ছিল। যদিও এটা তার জীবনে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে নি তবে তার শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার আগে তার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায় পুরোপুরিভাবে।
তোমার নিজের ব্যস্ত জীবন এবং তোমার পরিবারের বাইরে আমার জন্য একটু জায়গা আছে, এটা জেনে ভীষণ সুখী হলাম। এরজন্য আলাদাভাবে তোমাকে কোনো ধন্যবাদ দিতে চাই না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, তোমার জীবনে অলিখিত কিংবা অদৃশ্য একটা অধিকার ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে আমার। সে কথা থাক, হার্টের চিকিৎসা ঠিকঠাক মতো করাও। প্লিজ এটাকে নিয়ে হেলাফেলা করো না। তোমার কিছু হয়ে গেলে সেই খবর শোনার মতো মানসিক শক্তি আমার হবে না। আই ক্যান্ট অ্যাফোর্ড টু হিয়ার দ্য নিউজ অফ ইউ সাফারিং ফ্রম এনিথিং! তুমি কি তা বোঝ?
তুমি অবশ্যই আমার হাসি দেখবে। তবে কখন তার সঠিক সময় হয়তো বলতে পারব না এই মুহূর্তে, তবে দেখবে অবশ্যই। তুমি যখন ঢাকা আসবে তখনই দেখবে। অথবা আমি যদি শিকাগোতে যাই। যেতেও তো পারি—কিছু কি বলা যায় ?
আজ আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। আমি জানি তুমিও আমার মতো দীর্ঘ মেইল পড়তে পছন্দ করো। কি ঠিক বলি নি?
আমি অনলাইনে থাকব কিছুক্ষণ। তোমাকে খুঁজব কিছুক্ষণ। তোমাকে পেলে কথা বলব কিছুক্ষণ। না পেলে মন খারাপ করে থাকব কিছুক্ষণ।
ভালোবাসা তবুও অনেক।
সিমি।
(চলবে...)
Leave a Reply
Your identity will not be published.