[এই পত্রোপন্যাসটি মূলত দুজন মানুষের গল্প। ফাহিম আর সিমির। একজন থাকে আমেরিকায়, অন্যজন বাংলাদেশে। একটা অনাকাঙ্খিত ই-মেইলের কারণে দুজনের পরিচয় হয়েছিল। ভুল থেকে পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব, তারপর বিচ্ছেদ। এর মাঝে ই-মেইলে দুজন অসংখ্য পত্র আদান-প্রদান করেছে। সেইসব পত্রে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ-অপছন্দ, মনস্তত্ত্ব— সবই ফুটে উঠেছে। আজ পড়ুন সপ্তম পর্ব।]
জানি আমার বিরহে তুমি কাতর নও- হওয়ার তো তেমন কোনো কারণও নেই। তবুও কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো- কার কথা ভেবে ভেবে গানটি গাইছিলে তুমি? লিখেছ, নিঃসঙ্গ নিজেকে সঙ্গ দেবার জন্য, তাই কি?
‘সময় যেন কাটে না’ সামিনা চৌধুরীর এই গানটি আমি জিঙ্গেল হিসেবে প্রথম দেখেছি টিভিতে (অপি করিম মডেল ছিল), সম্পূর্ণ গানটি শোনার সুযোগ হয় নি। গানের লাইনগুলি যখন পড়ছিলাম, আমার চোখে অপির মুখাবয়বটিই ভাসছিল। কিন্তু অপির জায়গায় আমি তোমার ছবিটি দেখতে চাইছিলাম। কিন্তু কিছুতেই তোমাকে কল্পনায় মেলাতে পারছিলাম না। আচ্ছা, তুমি কি কোনো জানালার ধারে দাঁড়িয়েছিলে?
ইশ কবে যে তোমাকে দেখতে পাব? তোমার একটা ছবি কি আমাকে পাঠাতে পার? না কি তোমাকে দেখার জন্যে বাংলাদেশেই যেতে হবে আমাকে?
আচ্ছা তুমি তো আমার ছবি দেখেছ, তাই না? কিছু তো বললে না।
আমার কেন যেন মনে হয়, আমাকে যত বেশি জানবে হঠাৎ করেই তুমি মন বদলে ফেলবে এক সময়।
তুমি ঠিকই বলেছ, চিঠি কিন্তু কথা বলার চেয়েও ভালো মাধ্যম। তুমি চাইলেই তোমার সব কথা কোনো সংশয় ছাড়াই বলতে পার। তাহলে আমাদের এই ইলেকট্রনিক চিঠির আদান-প্রদান চলতে থাকুক, কী বলো?
আমার সঙ্গে কথা বলতে তুমি স্বচ্ছন্দবোধ করো জেনে আশ্বস্ত হলাম। একটা ব্যাপারে আমি তোমাকে নিশ্চিত করতে চাই, আর তা হলো, আমার কাছ থেকে তুমি কখনো আঘাত পাবে না। তোমার মতো আমিও বিশ্বাস করি, আমরা একে অপরের ভালো বন্ধু হতে পারব।
তুমি হয়তো এখন গভীর ঘুমে। আমার দিনের শেষ প্রায়। এখনই বাসায় যাব। তার আগেই ভাবলাম তোমার জন্য একটা মেইল পাঠিয়ে দিই। আমি জানি, কেউ একজন আমার চিঠির অপেক্ষায় থাকে সারাক্ষণ।
তোমাকে বোর করতে চাচ্ছি না। তোমার দিনের শুরুটা অন্যরকম হওয়ার বদলে বিরক্তিকর হতে পারে এই চিঠি পড়ে। মাঝে মাঝে খুব আফসোস হয়, ইশ আমি যদি কবি-লেখকদের মতো সুন্দর করে লিখতে পারতাম!
আপাতত এটুকুই। ভালো থেকো।
অফুরান ভালোবাসা।
ফাহিম।
পুনশ্চ: ফাহিম আমার অনেক পছন্দের নাম। আমার নামটি বদলে না দেওয়ার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ফাহিম, প্রিয়তম বন্ধু আমার-
লক্ষ করলাম, তোমার আগের মেইলটিতে তুমি কোনো সম্বোধন করো নি আমায়! কেন? এর আগে লিখেছো, প্রিয় সিমি। আমি কি তাহলে অপ্রিয় হয়ে গেলাম? তাহলে অপ্রিয় সিমিই লিখতে!
তুমি হাসছ আমি জানি।
তোমার চিঠি পেতে আমার খুব ভালো লাগে, এটা আর নতুন কিছু নয়। নতুন করে যেটা যোগ করতে চাচ্ছি আর তা হলো তোমার লেখা আমার শুধু ভালোই লাগে তা নয়, আমি এখন তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় থাকি তোমার মেইলের। আজ আমার নতুন কাজের দ্বিতীয় দিন। আমি অলরেডি দশ মিনিট লেট। এখনো বের হতে পারি নি। কিন্তু তোমার মেইল এসেছে কি-না সেটা চেক না করে আমি বের হতেই পারলাম না। এবার বোঝা গেছে ব্যাপারটা?
তুমি ঠিকই বলেছ, সময় যেন কাটে না, গানটি একটেলের একটি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি দেখার আগে আমিও গানটি শুনি নি। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই কোনো একটা টিভি চ্যানেলে দেখলাম সামিনা চৌধুরী গানটি গাচ্ছে। এবং সঙ্গে সঙ্গেই ভীষণ ভালো লেগে যায় আমার। বিশেষ করে গানের কথাগুলো। ঠিক যেন আমারই কথা-আমার কথা ভেবেই লেখা হয়েছে।
তুমি আমাকে দেখতে চেয়েছ। খুব শীঘ্রই আমার কিছু ছবি পাঠিয়ে দেব তোমাকে। এখানকার নেটের যা অবস্থা এই মুহূর্তে ছবি আপলোড করতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে, সেক্ষেত্রে অফিসে যেতে অনেকই দেরি হয়ে যাবে। অফিসের দ্বিতীয় দিনেই দেরিতে যাওয়া মোটেই সমীচীন হবে না।
বরং তুমি তোমার কিছু ছবি পাঠিয়ে দাও আমার জন্য। যদিও আমি ইয়াহুতে তোমার একটা ছবি দেখেছি, সেটা তোমার মুখের একটা সাইড ভিউ শুধু এবং আকারে খুবই ছোট। দেখে তো মনে হচ্ছে তুমি বেশ হ্যান্ডসাম। তবে গায়ের রঙটা কিঞ্চিৎ কালোই হবে হয়তো। আমাদের দেশে যাকে বলে শ্যামলা। তোমরা কী বলো-ব্রাউন? যাই হোক ব্ল্যাক অর ব্রাউন কোনো জরুরি বিষয় নয়। ফ্রেন্ডশিপ ইজ নট অ্যাবাউট লুক, ইটস অল অ্যাবাউট মেন্টালিটি। তাই নয় কি?
আজ তোমাকে অনলাইনে পাব ভেবেছিলাম। মনে হচ্ছে তুমি ব্যস্ত আছো। সমস্যা নেই, কালকে না হয় চ্যাট করব। আমার সকালে, তোমার সন্ধ্যায়- অবশ্যই যদি তুমি ফ্রি থাকো।
দেখেছ, আমাকে কথায় পেয়ে বসেছে। আজকে অফিসে নির্ঘাত দেরি হবে। আমি যাই। তুমি অপেক্ষায় থাকবে তাই তাড়াহুড়ো করে লিখলাম।
তোমার মেইলের আকার যেমনই হোক তাতে কিছু যায় আসে না। এক লাইনের না এক হাজার লাইনের তা মুখ্য নয়। অবশ্য আমি কিন্তু বড় মেইল লিখতে এবং পড়তে পছন্দ করি। আমার ধারণা তুমি ইতোমধ্যেই তা জেনে গেছ।
আবারো লিখব, কাজ থেকে ফিরেই। সুন্দর থেকো। হ্যাভ অ্যা ওয়ান্ডারফুল স্লিপ অ্যান্ড সুইট ড্রিম।
ভালোবাসা জেনো।
অপ্রিয় সিমি।
পুনশ্চ: তুমি ভালো লিখতে পারো না, এ কথাটা মোটেও ঠিক না ফাহিম। তোমার কথার মায়ায় এই আমি কেমন করে আঁটকে যাচ্ছি, একটু একটু করে, দেখেছ? এমন করে এর আগে কোনো ছেলে আমাকে লিখে নি কখনো কোনো কাব্য নয় বরং তোমার এই সাধারণ সাদামাটা সহজ কথাই আমাকে নেশা ধরিয়ে দেয়। আমি চাই না, আমার এ নেশা কেটে যাক সহসাই।
ঘুমুতে যাবার আগে সিমি আরো একটা দীর্ঘ মেইল লিখল ফাহিমকে। রাত ১২টা পেরিয়ে ১৪ মিনিট।
প্রিয় ফাহিম,
আমি ওইদিন সন্ধ্যায় বিশেষ কারও জন্যে অপেক্ষা করছিলাম না। কিছু এলোমেলো ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম। আমার সেই ভাবনার মাঝে তুমিও খানিকটা জায়গা করে নিয়েছিলে। খানিকটা নয়, বেশ খানিকটা। আমি যদি বলি আমি আসলে অপেক্ষা করছিলাম আমার নতুন বন্ধুর চিঠির, ভাবছিলাম তারই কথা।
নাহ, আমি কোনো জানালার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলাম না। আমি আর আগের মতো সেই রোম্যান্টিক সিমি নেই। আর তুমি যদি শো-বিজের কোনো তারকার সাথে আমাকে কম্পেয়ার করো বা মিলিয়ে দেখতে চাও—হে প্রিয় বন্ধু আমার, তুমি শুধু হতাশই হবে। কাজেই এখনই সতর্ক হয়ে যাও। পরে কিন্তু আমাকে ব্লেম করতে পারবে না।
টিপিক্যাল বাঙালি মেয়েদের মতো আমি খুবই সাদামাটা সাধারণ একটা মেয়ে। আমার চেহারার মধ্যে কোনো চমক নেই। তারপরেও, তুমি চাইলে অবশ্যই আমার ছবি তোমাকে পাঠাব। অবশ্য তার আগে ফটো অ্যালবাম থেকে কিছু ছবি নিয়ে স্ক্যান করাতে হবে। আমিও কিন্তু তোমার ছবি দেখার অপেক্ষায় আছি। তোমার ইয়াহু আইডিতে যে থাম্বনেইল ছবিটি আছে, সেটি খুবই ছোট যা থেকে তুমি আসলে দেখতে ঠিক কেমন তা উদ্ধার করা কঠিন। আমার আগের মেইলে কী লিখেছি তা মোটেও ঠিক নয়।
সত্যি কথা যদি বলি, আমার আসলে খুবই ইচ্ছে হচ্ছে তোমাকে দেখতে। সশরীরে। সামনা-সামনি। তুমি এত দূরে থাকো কেন বলো তো? আচ্ছা তুমি শেষ কবে দেশে এসেছিলে?
চিঠির মাধ্যমে একে অপরকে বেশ ভালোভাবেই জানা যায়। তবে চ্যাটিংয়ের কিন্তু একটা আলাদা প্রাণ আছে। একজন জীবন্ত মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলার মতোই অনেকটা। তারপরেও চিঠিই কিন্তু পারে দুজন মানুষকে দুজনার খুব কাছে টেনে নিতে।
আচ্ছা শোনো, দীর্ঘ চিঠি লিখে মানুষকে বিরক্ত করতে আমার কিন্তু বেশ লাগে। আমার ধারণা, তুমি ইতোমধ্যেই নিশ্চয়ই তার কিছুটা নমুনা দেখতে পেয়েছ।
তোমার সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও চ্যাট করে খুব ভালো লাগল। মনে হচ্ছিল তোমাকে আমি অনেকদিন থেকেই চিনি। সিরিয়াসলি বলছি। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক, আমি তোমাকে চিনি না এবং আমি তোমার সম্পর্কে বেশি কিছু জানতে চাই না, চিনতেও না। আমি ঠিক তোমার সম্পর্কে ততটুকুই জানতে চাই, যতটুকু তুমি জানাতে চাও। কেউ তার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বা অনেক কিছু কাউকে জানাতে চাইতে নাই পারে— এটা তার অধিকার। সেই অধিকার খর্ব করার আমি কে?
তোমার ইতিহাসটা কী আমি জানি না, জানতে চাইও না, শুধু এটুকুই বলব, পেছনের কোনো জটিলতা (যদি থাকে) নিয়ে সাফার করার কোনো মানে হয় না। যা ঘটে গেছে, গেছে। সামনের জীবনটা অন্য রকম হোক- সে চেষ্টাই করা উচিত। জীবনটা হওয়া উচিত হেমন্তের বিকেলের মতো- শরীর জুড়িয়ে যাবার মতো যথেষ্ট ঠান্ডা আবার যথেষ্ট গরম যাতে ঠান্ডাটা শরীরে বসে না যায়।
আমার ধারণা, তুমি এখন অফিসে। আজ রাতে আমাদের চ্যাট হবে? মানে তোমার সন্ধ্যা আর আমার ভোর। যদি কথা হয়, শুধু তাহলেই আমি লগইন করব, নাহলে অফিসে যাওয়ার আগে সময় নষ্ট করতে চাই না। এমনিতেই ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের অবস্থা ভয়াবহ। অফিসে যেতে এক ঘণ্টার ওপরে লেগে যায়। নতুন কাজে বার বার দেরিতে যাওয়া কোনো ভালো কথা না।
তোমাকে আমার ফোন নাম্বার দিয়েছি কিন্তু, যদি মাইন্ড চেঞ্জ করো, আমাকে টেক্স করে জানিয়ে দিও। আবারও বলছি, তুমি চ্যাট করতে না পারলে আমি লগইন করব না। মনে থাকে যেন!
আমার কথা ভেবে তুমি যে দ্রুত আমার মেইলের উত্তর দাও, এটা জেনে আমি ভীষণ আহ্লাদিত। এতটা গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য কি আমি? আমার প্রতি তোমার এই স্পেশাল অ্যাটেনশন দেয়ার জন্যে কী করে ধন্যবাদ দিব জানি না, তবে এই স্পেশাল অ্যাটেনশন আমি পেতে চাই, একইভাবে- দীর্ঘদিন!
তুমি কয়েকবার জানতে চেয়েছ, নতুন কাজে আমার প্রথম দিনটি কেমন কেটেছে। ভালো না। একেবারেই। আমার সহকর্মীরা সবাই খুবই ভালো, কেয়ারিং অ্যান্ড হেল্পফুল। অফিসটাও খুব সুন্দর, পরিপাটি করে সাজানো। যেখানে যেটা থাকার সেখানেই সেটা আছে। ঢাকার আবহাওয়াও ছিল আশানুরূপ সুন্দর। নাতিশীতোষ্ণ। সবকিছুই যেমন থাকার কথা তেমনই ছিল। ভালো না-লাগার কোনোই কারণ নেই তবুও আমার দিনটি ভালো কাটে নি তার একমাত্র কারণ ছিল- সারা দিনে আমার করার কিছুই ছিল না। হয়তো প্রথম দিন বলেই, কিন্তু তবুও আমি বোর হয়ে যাচ্ছিলাম। কিছুটা ফ্রাস্টেটেডও। আজকের চিত্রটাও একইরকম ছিল। ধারণা করছি, আগামীকাল থেকে হয়তো কিছু কাজ হাতে পাব, সময়টাও ব্যস্ততার মধ্যে কাটবে।
তোমাকে কি বলেছিলাম আমি দীর্ঘ চিঠি পছন্দ করি? আমি কখনোই বোর হই না। কাজেই, আমাকে যখন লিখবে, দড়ি টেনে ধরবে না, যতক্ষণ ইচ্ছে লিখে যাবে। তোমাকে তো আর পৃষ্ঠা গুণতে হবে না। মেইলিং কস্ট বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয়ও নেই। কাজেই লিখবে।
তোমার সম্পর্কে জানিয়ো, যতটুকু জানাতে চাও। আমার অবশ্যই ভালো লাগবে আমি জানি।
ভালোবাসা অফুরান: ফ্রম মি সিমি।
পরিশিষ্ট: সিমি মেইলের নিচে *মায়া এঞ্জেলো’র বিখ্যাত কবিতা ‘ফেনোমেনাল ওম্যান’-এর কিছু লাইন লিখে দিয়েছে। কিন্তু কেন দিয়েছে সেই রহস্য উন্মোচন সহসাই করতে পারল না ফাহিম। কবিতাটির সঙ্গে সিমির চরিত্রের কি কোনোমিল আছে? সিমিও কি মায়া এঞ্জেলোর কবিতার মতোই একজন বিস্ময়-রমণী? হয়তোবা। ফাহিমের কাছে অবশ্য পৃথিবীর তাবৎ মেয়েদের বিস্ময়-রমণী মনে হয়। সিমি তো পৃথিবীর বাইরের কেউ নয়।
Phenomenal Woman - Poem by Maya Angelou
Pretty women wonder where my secret lies.
I’m not cute or built to suit a fashion model’s size
But when I start to tell them,
They think I’m telling lies.
I say,
It’s in the reach of my arms,
The span of my hips,
The stride of my step,
The curl of my lips.
I’m a woman
Phenomenally.
Phenomenal woman,
That’s me.
প্রিয়দশির্নীরা ভেবে পায় না আমার রূপের রহস্য কী!
সুদর্শনা নই আমি কিংবা ফ্যাশন মডেলের মাপে মাপে নয় আমার দেহের গঠন
কিন্তু আমি যখন ওদের বলতে শুরু করি,
ওরা ভাবে, বানিয়ে বলছি,
আমি বলি, রহস্য লুকিয়ে আছে
বাহুদ্বয়ের প্রসারণ ক্ষমতায়,
নিতম্বের বিস্তারে,
ধাপের দৈর্ঘ্যে,
ঠোঁটের বঙ্কিমতায়।
আমি নারী
বাহ্যত।
ধারণাসম্মত রমণী,
সেটাই আমি।
- মায়া এঞ্জেলো ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, নৃত্যশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেত্রী। ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অভিষেক অনুষ্ঠানে অ্যাঞ্জেলো তাঁর ‘অন দ্যা পালস অফ মর্নিং’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন। গায়িকা হিসেবে তার অনেক সাফল্য থাকলেও সঙ্গীতের জন্য তিনি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন নি। কিন্তু তার নিজের লেখা কবিতা ‘পালস অফ মর্নিং’ আবৃত্তির জন্য লাভ করেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। এর আগে ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘দ্য গিফট আউটরাইট’ কবিতার জন্য কবি রবার্ট ফ্রস্ট এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। সে হিসেবে রবার্ট ফ্রস্টের পর মায়া এঞ্জেলো একমাত্র কবি যিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হন।
(চলবে…)
Leave a Reply
Your identity will not be published.