শম্পা কী চায়? (পর্ব ১৬)

শম্পা কী চায়? (পর্ব ১৬)

[থ্রিলার উপন্যাস। এই উপন্যাসের প্রতি পদে রহস্য ও রোমাঞ্চের হাতছানি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার জাহিদ আহমেদ। ঢাকার রেডিসন হোটেলে শম্পা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখানের একটি রুমে শম্পার সঙ্গে যাওয়ার পর কী ঘটে, তা জাহিদের মনে নেই। এরপর শম্পা জাহিদের ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজির ছাত্রী সেজে তার পিছু নেয়, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে  ব্ল্যাকমেইলিং করতে থাকে...। এক সময় শম্পা খুন হয়। কে খুন করল শম্পাকে? জাহিদ আহমেদ নাকি অন্য কেউ? নাকি অন্য রহস্য জড়িয়ে আছে এখানে? আজ পড়ুন ১৬তম পর্ব।]

প্রথম পর্ব  দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব পঞ্চম পর্ব 

ষষ্ঠ পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব নবম পর্ব দশম পর্ব  

পর্ব ১১ পর্ব ১২ পর্ব ১৩ পর্ব ১৪ পর্ব ১৫

প্রফেসর জাহিদ হ্যান্ডসাম বলেই মেয়েদের সঙ্গে ইকরি মিকরি চামচিকরি করে এখনো টিকে আছে। তাহলে ভাবুন বাইশ বছর আগে টগবগে দুরন্ত যৌবনে জাহিদ দেখতে কেমন ছিল আর হরগঙ্গা কলেজে কী খেল দেখিয়েছে?

কেমন ছিল আমাদের প্রফেসর তখন?

কী বলব, পুরো মাক্ষি ছিলিবিলি। মাথায় ঝাঁকড়া চুল, বড় বড় উদাস চোখ, উঁচু লম্বা নাক, দ্রাবিড়ের চেয়ে আর্য ভাবটাই প্রবল। ভালো তবলা বাজাতে পারে, নাটকে অভিনয় করে। ঘিয়ে রঙের খদ্দরের পাঞ্জাবি পরে সে যখন ভরাট কণ্ঠে আবৃত্তি করত, ‘রুদ্র তোমার দারুণ দীপ্তি এসেছে দুয়ার ভেদিয়া’, আমার ক্লাসের মেয়েরা পর্যন্ত আমার দুয়ার ভেদ করে ওর ক্লাসে হাজির হতো। নারীবিহীন ক্লাসরুমে কতগুলো গদাধর ছাত্রকে তখন আমি দর্শন শেখাতে বাধ্য হতাম। এ জন্যই ওকে কলিগরা বলত হরগঙ্গার বাঁশিওয়ালা।

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো?

জি। কিন্তু সেখানেই শেষ না। আমাদের কলেজ কমপ্লেক্সের মাঝে ছিল একটা বড় দিঘি। বিকেলবেলা সেই দিঘির পাড়ে চলত মেয়েদের কলকাকলিতে মুখর কবিতা আর গানের আসর। আসরের মধ্যমণি আমাদের রাসপুটিন, আঠারো-উনিশ বছর বয়সের স্বপ্নালু মেয়েদের মহানায়ক। মুন্সীগঞ্জের রাসপুটিনের তখন পোয়াবারো। কেউ বইয়ের ভেতর চ্যাপ্টা গোলাপফুল গুঁজে ওকে গিফট করছে, কেউ রক্ত দিয়ে প্রেমপত্র লিখে ওর নামে পোস্ট করছে, কেউ রুমের সামনে তাজা ফুল নিভৃতে রেখে যাচ্ছে। আমাদের রাসপুটিনও হাত খুলে চার ছক্কা মেরে মাঠ গরম করে ফেলছে। শুধু মেয়েরা না, মেয়েদের গার্জিয়ানরাও জাহিদকে পাত্র হিসেবে পাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল

কেন বলুন তো?

ওই যে বললাম সে প্রচণ্ড হ্যান্ডসাম ছিল, অবিবাহিত, ভালো একটা কলেজের শিক্ষক। কিন্তু আরেকটা কারণ আছে।

কী সেটা?

হি কেইম ফ্রম অ্যা ভেরি ওয়েলদি অ্যান্ড বনেদি ফ্যামিলি অফ যশোর। ওর বাবা বোধহয় জমিদারের বংশধর টাইপের কিছু একটা ছিলেন। জাহিদ যখন ইন্টারমিডিয়েটে তখন ওর বাবা মারা যান। এখন তো ওর মাও বেঁচে নেই। একমাত্র সন্তান হিসেবে জাহিদের চাকুরির প্রয়োজন ছিল না কখনোই, বাপ-মা প্রচুর সম্পত্তি রেখে গেছেন। এ জন্যই গণ্ডারটার এই রেক্লেস বিহেভিয়ার, বুঝেছেন?

জি, বুঝলাম। আপনি বলছেন মেয়ের বাবারা এই ধনী সুদর্শন শিক্ষককে নিজের জামাই হিসেবে পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল?

ঠিক তাই। রীতিমতো কম্পিটিশন। এটা মফস্বলে নতুন না, অবিবাহিত ডাক্তার গেলেও দেখবেন মেয়ের বাবারা পেছনে লেগে গেছে। কিন্তু জাহিদের ব্যাপার আলাদা, ওর প্রেমে শহরের অর্ধেক মেয়ে তখন হাবুডুবু খাচ্ছে। ওদিকে একটার পর একটা বিয়ের প্রস্তাবও আসছে। কিন্তু মুন্সিগঞ্জের রাসপুটিন কী আর অত সহজে খেলা ভেঙে প্যাভিলিওনে ফিরবে? টিটুয়েন্টিরে আমাদের রাসপুটিন বানায়ে ফেলল টেস্ট ম্যাচ।

আপনার সঙ্গে কি তখন ওনার ঝামেলা আরম্ভ হয়েছে?

আর কিছুদিন পর।

ওনার অগণিত পল্কা প্রেমের জন্য? আপনার ঈর্ষা হয়েছে?

আরে না। আমি কালচারাল প্রোগ্রামের কিছু টাকা সরিয়ে রেখেছিলাম দুঃসময়ের জন্য। আপনাদের প্রফেসর জাহিদ ভালোমানুষি দেখাতে গিয়ে প্রিন্সিপ্যালকে ব্যাপারটা জানিয় দিল। জাহিদের কাছে হাজার হাজার প্রেম কোনো দোষের বিষয় না কিন্তু সামান্য টাকা চুরি ভীষণ অন্যায়। আমার এথিক্সের পুরো উল্টো। তখন থেকেই ওর সঙ্গে রেষারেষি আরম্ভ হলো।

যা হোক, এই গল্প আমাকে শোনাচ্ছেন কেন?

কারণ সাত-আট মাস পরই একটা নাটকীয় ঘটনা ঘটল। জাহিদের সেকেন্ড ইয়ারের ক্লাসে আগমন ঘটল হিমানীর।

হিমানী? কে সে?

হ্যাঁ, হিমানী। ওরা ময়মনসিংহ থেকে এসেছে। প্রফেসরের ক্লাসে নতুন ছাত্রী। হিমানী ক্লাসে আসার পর সম্পর্কের সব সমীকরণ পাল্টে গেল।

ইন্টারেস্টিং, কিসের সমীকরণ? কীভাবে কী হলো? একটু বুঝিয়ে বলুন।

হিমানী প্রচণ্ড শার্প মেয়ে। সে সুন্দরী কিন্তু ঝরনার মতো চপল চঞ্চল সুন্দরী না। কেমন যেন কাঞ্চনজঙ্ঘা টাইপ, মহিয়সী ধরনের সুন্দরী। বলতে পারেন এলিগ্যান্ট। হিমানী খুব ভালো কবিতা বুঝত, ক্লাসে সেরা রেজাল্ট করত, কোনো আলগা ফাতরামোর ভেতর নাই। রাসপুটিন জাহিদ এবার সত্যি সত্যি প্রেমে পড়ল। ওই যে কবি বলেছেন না, সে বিষাদ-নীরে নিভে যাবে ধীরে প্রখর চপল হাসি? আপনাদের জাহিদ রাসপুটিনের তখন সেই অবস্থা। আর হিমানীর মতো মেয়েরা কেমন জানেন তো?

কেমন?

সহজে কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেবে না, চারদিকে একটা অদৃশ্য কাচের দেয়াল বানিয়ে রাখবে। কিন্তু একবার কেউ যদি সেই কঠিন মোড়ক ভেদ করে ওর মন ছোঁয়, তার জন্য সে প্রাণপাত করে দেবে। এ রকমের মানুষেরা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সাফার করে জানেন তো?

জানি না, হতেই পারে। তারপর কী হলো?

জাহিদের মাথায় তখন, আমার সোনার হরিণ চাই। এই মেয়েকে তার পেতেই হবে। সব ইকরি মিকরি চামচিকরি ছেড়ে জাহিদ হিমানীর পেছনে লেগে রইল তো রইলই। এমনকি পূজার সময় দেখা যেত সে মণ্ডপে গিয়ে কখন হিমানী আসবে সেই অপেক্ষায় বসে আছে।

পুজোর সময় কেন?

ও বলি নি বোধহয়। হিমানী তো হিন্দু ঘরের মেয়ে। আপনার রাসপুটিন যত সামাজিক আর মানসিক বাধা পায় ততই তার আকর্ষণ বাড়ে। একটু ঝামেলা না পাকালে প্রফেসরের ভাত হজম হয় না। যা হোক, এভাবে লেগে থাকতে থাকতে এক সময় মেয়েটার মন গলল। আসলে মন গলার আরেকটা কারণ আছে।

কী কারণ?

লোকমুখে শুনেছি মেয়েটা সংসারে সুখী ছিল না মোটেই। ওর হাজব্যান্ড ছিল ভীষণ আবিউজিভ, রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশ্লীল গালিগালাজ করত, যখন তখন গায়ে হাত তুলত। বিয়েতে বেঁধে দেয়া শর্তের কারণেই নাকি হিমানীর হাজব্যান্ড হিমানীকে পড়তে অ্যালাউ করেছিল।

হিমানীর হাজব্যান্ড ছিল?

ও এটা আগে বলি নি বোধহয়। ওর হাজব্যান্ড ছিলেন বিজনেসম্যান, ব্যবসা সামলাতে প্রায়ই কলকাতায় যেতেন, হিমানী কাজের বুয়ার কাছে বাচ্চা রেখে কলেজ আসত।

বাচ্চাও ছিল?

হ্যাঁ, বাচ্চার বয়স তখন মাত্র আট ন’ মাস। যা হোক, হিমানী আর জাহিদের প্রেম ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীরতর হলো। আমাদের ওখানে একটা পুরোনো বাংলো বাড়ি ছিল। ওদের নাকি বেশ ক’বার সেখানেও দেখা গেছে। ওই যে অভিসার বলে একটা শব্দ আছে না?

তাহলে তো ওদের রিলেশন খুব ইন্টিমেট ছিল মনে হচ্ছে।

হতেই পারে, আমি জানি না। এক সময় যা হওয়ার তাই হলো।

কী হলো?

পাঁচ কান হয়ে এই স্ক্যান্ডালের কথা ওর হাজবেন্ডের কানে গেল। আমার তখন জাহিদ গান্ডুর সঙ্গে ফ্রেন্ডলি টার্ম কিছুটা কমে গেছে। তারপরও গান্ডুকে বললাম পুরো ব্যাপারটা ফুল স্টপ করতে। কিন্তু বল তখন অনেক দূর গড়িয়ে গেছে, এভরিথিং ওয়াজ সেট ইন মোশন। হিমানী দুই নৌকায় পা দেয়ার মেয়ে না। সে ডিসিশন নিল হাজব্যান্ডকে ডিভোর্স দেবে। এদিকে আমাদের রাসপুটিনও সব অনূঢ়া সুন্দরীদের বুক ভেঙে হিমানীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত।

ইন্টারেস্টিং, তারপর?

তারপর ঘটল সেই ভয়াবহ ঘটনা। আমি আজও চোখ বন্ধ করলে সেই দৃশ্য দেখতে পাই আর ভয়ে আঁতকে উঠি।

উহ, আপনার তো আমার সঙ্গে সাসপেন্স করার দরকার নেই। কী ঘটেছে একটু সংক্ষেপে বলুন।

আমি সব সময়ই একটু আর্লি অফিসে আসি। সেদিনও ভোরবেলা অফিসে এলাম। বুকশেলফ থেকে একটা বই নিয়ে টেবিলের উপর রাখলাম।  চেয়ারে বসতে যাব এমন সময় জানালা দিয়ে তাকাতেই আমার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠল।

মাথা ঘুরাল আপনার? স্ট্রোক নাকি?

না না,  জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি কলেজের দিঘিতে গাছের গুঁড়ির মতো ভাসছ, উঁহ, আমি ভাবতেই পারছি না।

কী ভাসছে?

হিমানীর দেহ।

কী বলছেন?

জি। তখনই দারোয়ানকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বললাম জাহিদকে খবর দিতে। খবর পেয়েই জাহিদ ছুটে এল। আহা জাহিদের সে কী কান্না!

কীভাবে মারা গেল হিমানী জানা গেছে?

পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ অমীমাংসিত দেখিয়েছে। অনেকে বলে সমাজধর্মের টানাপড়েন সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেটা কলেজের দিঘিতে করবে কেন? অনেকে বলে হিমানী শেষ মুহূর্তে জাহিদের হাত ধরে ঘর ছেড়ে বের হতে আপত্তি করেছিল। তাই নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জাহিদ ওকে মেরে ডুবিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জাহিদ সেটা নিজের ক্যাম্পাসে করবে কেন?

আপনি কী মনে করেন?

আমার তো ধারণা জাহিদকে ফ্রেম করার জন্য ওর আবিউজিভ হাজব্যান্ড কাজটা করেছে, অনার কিলিং আর কী। যা হোক, এ নিয়ে কিছুদিন খুব থমথমে অবস্থা চলল শহরে। জাহিদের চেহারা যদি তখন দেখতেন, মনে হলো ওর আত্মার একটা অংশ বোধহয় হিমানীর সঙ্গে চিতায় জ্বলে ছাই হয়ে গেছে। এর কিছুদিন পর হিমানীর হাজব্যান্ড বাচ্চা নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ছেড়ে চলে গেল। কে যেন বলেছিল ওরা এখন কলকাতা থাকে। এদিকে এই ঘটনার পর জাহিদ তো আর কলেজে থাকতে পারে না। সে ওখান থেকে জগন্নাথে যোগ দিল, জগন্নাথে কয়েক বছর পড়িয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করল। আমি নিজেও হরগঙ্গা ছেড়ে দিয়েছিলাম বছরখানেক পরে।

হিমানীর বাচ্চাটা মেয়ে ছিল নাকি ছেলে?

মেয়ে। দাঁড়ান, নাম মনে করার চেষ্টা করি, হ্যাঁ, ওর ডাক নাম ছিল মনীষা।

ওর বয়স কত হবে এখন, বাইশ তেইশ?

হুম তাই হবে। হোয়াট এ ট্রাজেডি! কিন্তু দেখেন রাসপুটিনের অবস্থা। মনের কোন গোপন কুঠুরিতে এই গভীর বেদনা তালাবদ্ধ করে সে আবার ফ্লার্টিং-এ মেতে উঠেছে। একেই বলে খাইসলত।

আপনার যেমন টাকা সরানোর খাইসলত।

দুটোর তুলনা চলে না, আমি হলাম এ কালের রবিন হুড। ওই টাকা দিয়ে আমি কত গরিবগুর্বাদের হেল্প করি আপনি জানেন?

উঁহ, আপনারা ইন্টেলেকচুয়ালরা পারেনও বটে! কথার প্যাঁচে নিজেদের সব কাজকে জাস্টিফাই করেন। যা হোক, আমি উঠছি আজ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আচ্ছা। আরেকটা কথা, মুন্সিগঞ্জে এখনো আমার অনেক পুরোনো কলিগ আছেন, আপনি চাইলে আমি যোগাযোগ করিয়ে দেব।

ঠিক আছে। আপনার এত আগ্রহের কারণ জানতে পারি?

জি, অবশ্যই। আই ওয়ান্ট টু ক্লিয়ার মাই নেম। ওই গান্ডু প্রফেসরকে ফলো করেছি বলে আপনারা যে ভাবছেন আমি কিছু একটা করেছি, সেটা ঠিক না।

প্রোভিসির বাসা থেকে বেরিয়ে লাবণি ক্রমেলাকে ফোন করল। অলাতচক্র গ্রুপের সদস্য ক্রমেলা প্রফেশনাল লাইফে ক্রাইম রিপোর্টার। সে এখন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে ইমারজেন্সি ইন্সিডেন্টের রেকর্ড সংগ্রহ করেছে। ক্রমেলা ফোন ধরে বলল, আপু, শম্পার বাসার কাছে ডেডবডি পাওয়ার আগের দু’ একদিনের ভেতর মাত্র একটা এক্সিডেন্ট কেইস আছে এই বয়সী মেয়েকে নিয়ে। গাবতলীর কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটা মেয়েকে বাস ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। মুখে আর মাথায় আঘাত লেগে মেয়েটা রাস্তায় নিথর হয়ে পড়ে থাকে। ঢাকা মেডিকেলে নিতে নিতেই সম্ভবত মেয়েটা মারা যায়।

ক্রমেলা, কারা এনেছিল মেয়েটাকে জানো?

ওখানকার স্থানীয় লোকজন, নাম যোগাড় করা যাবে, করব?

হ্যাঁ, করো। আর খুঁজে বের করতে হবে হাসপাতালে ডেডবডি কারা হ্যান্ডেল করেছিল। এইটা যদি সেই ডেডবডি হয় তাহলে প্রশ্ন হলো, হাউ ডিড ইট এন্ড আপ ইন অ্যা ডাস্টবিন?

(চলবে…)

Leave a Reply

Your identity will not be published.