[থ্রিলার উপন্যাস। এই উপন্যাসের প্রতি পদে রহস্য ও রোমাঞ্চের হাতছানি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার জাহিদ আহমেদ। ঢাকার রেডিসন হোটেলে শম্পা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখানের একটি রুমে শম্পার সঙ্গে যাওয়ার পর কী ঘটে, তা জাহিদের মনে নেই। এরপর শম্পা জাহিদের ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজির ছাত্রী সেজে তার পিছু নেয়, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করতে থাকে...। এক সময় শম্পা খুন হয়। কে খুন করল শম্পাকে? জাহিদ আহমেদ নাকি অন্য কেউ? নাকি অন্য রহস্য জড়িয়ে আছে এখানে? আজ পড়ুন শেষ পর্ব।]
প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব পঞ্চম পর্ব
ষষ্ঠ পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব নবম পর্ব দশম পর্ব
পর্ব ১১ পর্ব ১২ পর্ব ১৩ পর্ব ১৪ পর্ব ১৫ পর্ব ১৬ পর্ব ১৭ পর্ব ১৮
সাদিয়া চৌধুরী ওরফে শম্পা সোহানি ওরফে মনীষা দাস লাবণির কথায় অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, রাশান ডল বলতে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?
বলতে চাইছি, ভালোই খেল দেখালেন আপনি। মনে হচ্ছে আপনার পদধূলি নিই।
ছি, ওভাবে বলবেন না, আমি জাস্ট একজন ডাক্তার, সামান্য মনীষা দাস, শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একটু চালাকি করেছি।
সাদিয়া চৌধুরী ওরফে শম্পা সোহানি ওরফে মনীষা দাস ওরফে কমরেড চৈতালী সেন। আই স্যালুট ইউ।
এই প্রথম সাদিয়া চৌধুরী ওরফে শম্পা সোহানি ওরফে মনীষা দাস ওরফে কমরেড চৈতালী সেনের মুখ পাংশুটে হয়ে গেল। পর মুহূর্তে নিজেকে সামলে বললেন, নাও আই অলসো রেস্পেক্ট ইউ ইন্সপেক্টর। কীভাবে জানলেন যে আমি কমরেড চৈতালী সেন?
কারণ আমি ইন্সপেক্টর লাবণি, যৎসামান্য বুদ্ধি আমারও আছে।
আহা, দুঃখ হয় এই ভেবে যে আপনার মতো ব্রিলিয়ান্ট একজন মানুষ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কত কাজে আসত পারত! তা না করে আপনি অবক্ষয়ী পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বৈধ মাস্তানবাহিনীর কামলাগিরি করে খাচ্ছেন। হাউ প্যাথেটিক!
আচ্ছা আমার জীবন এবং অবদান নিয়ে পরে আলাপ করা যাবে। আমার ধারণা পুরো ঘটনার ভয়াবহ মোচড়ে উপস্থিত সবাই এই মুহূর্তে হতভম্ব হয়ে আছে। এতদিন যা ভেবেছেন, দেখা যাচ্ছে তার সবই প্রায় মিথ্যে। এ কারণে আমাকে আবার প্রথম থেকে গল্পটা বলতে হয়।
সাদিয়া চৌধুরী ওরফে শম্পা সোহানি ওরফে মনীষা দাস ওরফে কমরেড চৈতালী সেন বলল, আচ্ছা শুনি গল্পটা। লেটস সি হাউ ক্লেভার ইউ আর!
এই গল্পের শুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপর। ঠিক তো চৈতালী সেন?
বলুন, শুনছি।
একাত্তরের জুন মাসে যখন সারা দেশে তুমুল মুক্তিযুদ্ধ সেই সময়ই তৈরি হয়ে গেছে পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি। যুদ্ধ শেষ হলো। বাংলাদেশের জন্ম হলো। দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সুপারস্ট্রাকচার ভেঙে পড়েছে অথচ কারও কারও হাতে প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ। জনমত যাচাই না করেই সর্বহারা পার্টি ভাবল এই ভঙ্গুর সময়ই বিপ্লব আরম্ভের সবচেয়ে উপযুক্ত মুহূর্ত। শুরু হয়ে গেল রক্তক্ষয়ী বৈপ্লবিক আন্দোলন।
জনমত লেনিনও যাচাই করেন নাই। তিনি জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ না করে বরং সরকার উৎখাতে মনযোগ দিয়েছিলেন।
একটু থামুন, লেনিনের কথা না বলে আপনাদের গল্পটা শেষ করি। পঁচাত্তর সালে দলের নেতা সিরাজ শিকদারের ক্রসফায়ারে মৃত্যুর পর অনেক কিছু বদলে গেল। দলটি হঠাৎ ভাগ হয়ে গেল, তৈরি হলো নানা উপদল। ধীরে ধীরে এদের একটা বড় অংশ বামপন্থী আদর্শ ছেড়ে অথবা বামপন্থার নামে ডাকাতি আর চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল। বেড়ে গেল প্রকাশ্য এবং গুপ্তহত্যা। ব্যাপক আতঙ্কে সময় কাটানো আরম্ভ করে যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা এবং চুয়াডাঙ্গার ধনী ব্যবসায়ী এবং জমিদারির উত্তরাধিকারীরা।
তাতে আমার কী? এসব গল্প আমাকে শোনাচ্ছেন কেন?
আপনার কথায় পরে আসব, এ গল্প আমাদের প্রফেসরের।
রোকসানা অবাক হয়ে বলল, জাহিদের গল্প মানে, এর মাঝে জাহিদকে আবার টানছেন কেন?
প্রফেসর জাহিদ সায় দিয়ে বলল, জি, আমি তো আপনার কথা শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমাকে টানছেন কেন?
লাবণি প্রফেসর জাহিদের দিকে তাকিয়ে বলল, প্রফেসর, আমি যশোরে আপনাদের এলাকায় গিয়েছিলাম কাল। আপনি যে এত চূড়ান্ত রকমের ধনী পরিবারের সন্তান তা কিন্তু জানতাম না। তবে আসল লিড আমি পেয়েছি আপনার হরগঙ্গার আরেক কলিগের কাছ থেকে। শুধু ওনাকেই আপনি অনেক কথা খুলে বলেছিলেন। ইউ ওয়ান্টেড টু রিক্রুট হিম।
রোকসানা প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে বলল, মানে কী? কিসে রিক্রুট করতে গিয়েছিলে?
প্রফেসর কোনো উত্তর দিলেন না। লাবণি বলল, এই মুহূর্তে বেশি ডিটেলসে যাব না। সংক্ষেপে বলি। যশোরে প্রফেসরের বাবা ছিলেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী। তার একমাত্র ছেলে জাহিদ আহমেদ ভীষণ ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। অথচ কী আশ্চর্য, গোপনে সে যোগ দিয়েছেন সর্বহারা পার্টির একটা গ্রুপে। হয়তো কাজটা তরুণ বয়সের আদর্শ কিংবা খেয়ালের বশেই করেছেন। আবার এমনও হতে পারে কেউ তার ব্রেইন ওয়াশ করেছিল। মোদ্দা কথা হলো, তিনি পার্টিকে কথা দিয়েছিলেন তার সব পৈতৃক সম্পদ বিপ্লবের জন্য উৎসর্গ করবেন। ঠিক কি না প্রফেসর?
প্রফেসর নীরব। রোকসানা অবাক হয়ে প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে আছে। মিলির চোখে বিস্ময়। শম্পা সোহানি মানে কমরেড চৈতালী ঠোঁট টিপে হাসছেন। লাবণি কথা চালিয়ে গেল।
প্রফেসর মুন্সিগঞ্জে চাকুরি নিয়েছিলেন ওখানে একটা বৈপ্লবিক সেল গড়ে তোলার জন্য। নিজের হঠকারী রাসপুটিন ভাবটা ছিল জাস্ট একটা কভার। কিন্তু তরুণ যুবক জাহিদ আহমেদ রাজনীতি করতে এসে মনীষার মা মানে হিমানীর প্রেমে পড়ে গেলেন। সত্যিকার প্রেম মানুষকে নানাভাবে বদলে দেয়। দল থেকে দূরে এসে তিনি দলের কর্মকাণ্ডকে ঠান্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করলেন। ওনার ভেতর একটা বোধ এল যে তৃণমূল মানুষের সমর্থন ছাড়া শুধু ভয়ভীতি দেখিয়ে লুটপাট করে প্রকৃত বিপ্লব হবে না। প্রফেসর অনেক ভেবেচিন্তেই পার্টির সঙ্গে কাটআপ করলেন। জানিয়ে দিলেন তার সম্পদের এক পয়সাও তিনি পার্টিকে দেবেন না। বোধহয় তার মত এই মন বদলে হিমানীর হাত ছিল। পার্টি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে টিকটিকি লাগিয়ে দিল প্রফেসরের পেছনে। তারাও উপসংহারে এল যে হিমানীই প্রফেসরকে নিয়ন্ত্রণ করছে, শি নিডস টু বি পানিশড।
মিলি এবার মুখ খুলল, প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে বলল, বাবা, উনি কী বলছেন এসব আজগুবি কথা?
লাবণি কথা চালিয়ে গেল, মনীষার মাকে ওর বাবা মারে নি। প্রফেসরও মারে নি।
রোকসানা জিজ্ঞেস করল, আমি জানি জাহিদ কাউকে মারতে পারে না।
লাবণি বলল, হিমানীকে মেরেছে একটি গুপ্ত রাজনৈতিক দলের আদর্শবিচ্যুত একটা বখে যাওয়া উপদল। জাস্ট টু হার্ট দ্য প্রফেসর। তাই না কমরেড চৈতালী?
চৈতালী ফোঁস করে উঠলেন, আমাকে বলছেন কেন, আমার বয়স কত তখন? আমি তো তখন শিশু।
আপনাকে বলছি কারণ কাজটা একজেকিউট করেছে একজন কুখ্যাত কমরেড।
তো?
ওনার নাম কমরেড বিজন সেন। আপনার বাবা। আর আপনি নিজেও ওই দলের একজন কমরেড।
কমরেড চৈতালী সেন মুহূর্তের জন্য বিবর্ণ হয়েই আবার নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, তাতেই-বা আমার কী?
আপনার বাবা বিজন সেন ২০১৬ সালে ঢাকায় র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। নিহত হওয়ার আগে প্রফেসরকে তিনি হুমকি দিয়ে ইমেইল করেছিলেন।
মিলি জিজ্ঞেস করল, কিসের হুমকি?
মনে আছে বলেছিলাম প্রফেসর সাহেব পৈতৃক সূত্রে অনেক ভূসম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন। কথা দিয়েছিলেন এই সম্পদ দলকে দিয়ে দেবেন। পরে মুন্সিগঞ্জে গিয়ে উনি মত পাল্টালেন। প্রফেসরের সেই সম্পত্তির দাম এখন দশগুণ বেড়েছে। কমরেড বিজন সেন ইমেইল করে চাপ দিচ্ছিলেন প্রফেসরকে সেই পুরোনো কথা রাখতে হবে।
কমরেড চৈতালী সেন বললেন, বুঝলাম, কিন্তু তাতেইবা আমার কী?
আমার ধারণা এই কারণে এবং হিমানী হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রফেসর জাহিদ বিজন সেনকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। উনি র্যাবকে খবর দিয়েছেন।
শম্পা সোহানি ওরফে কমরেড চৈতালী এবার নিজের আবেগ সামলাতে পারলেন না, চিৎকার করে বললেন, জমি না দিয়ে শুয়োরটা আমার আদর্শবাদী বাবাকে র্যাবের হাতে তুলে দিয়েছিল। একটা গণমানুষের নেতাকে পুঁজিবাদীদের লেলিয়ে দেওয়া নেকড়ের পালের মাঝে ছেড়ে দিয়েছিল।
আর মেয়ে হয়ে সেটা কি মেনে নেওয়া যায়?
না যায় না, হি ডিজার্ভস টু ডাই।
এই তো আপনি কনফেস করলেন কমরেড চৈতালী।
কমরেড চৈতালী এবার হেসে বললেন, এগুলো আমার রাগের কথা। এগুলোর কোনো প্রমাণ নাই, পারলে প্রমাণ করেন।
একটু সময় লাগবে সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে, কিন্তু আমি সবকিছু প্রমাণ করতে পারব। আপাতত লেট মি প্রেজেন্ট দি অরিজিনাল মনীষা দাস, দি রিয়েল ডটার অফ হিমানী।
লাবণি কাকে ফোন করতেই দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করলেন সবুজ শিফন শাড়ি পরা মনীষা দাস। নমস্কারের ভঙ্গি করে মৃদু স্বরে বললেন, নমস্কার, আমি মনীষা, ইন্সপেক্টর লাবণির অনুরোধে কলকাতা থেকে আজ সকালেই এলাম। আমাকে কাল ভোরেই আবার একটা জরুরি কাজে চলে যেতে হবে।
অরিজিনাল মনীষা দাস এবার প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার মাকে খুব ভালোবাসতেন আপনি, তাই না?
প্রফেসরের চোখে পানি, তিনি শুধু মাথা নাড়লেন।
মনীষা বললেন, আপনারা বোধহয় জানতে চাচ্ছেন আমার মা যেদিন মারা গেলেন সেদিন আসলে কী হয়েছিল।
লাবণি বলল, জি, ঠিক তাই।
ওই দিন আমার বাবা আসলেই আমার মাকে ফলো করেছিল। বাবা ভালো মতোই দেখেছিল কে খুন করেছে। কিন্তু সবকিছু এত দ্রুত ঘটেছিল যে বাবার কিছুই করার ছিল না। দে একজেকিউটেড হার। ওরা বাবাকে বলেছিল আসল খবর ফাঁস হলে আমাদের বংশসহ খতম করবে। বাবা বাধ্য হয়ে আমাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতা চলে যায়।
লাবণি এবার কমরেড চৈতালির দিকে তাকিয়ে বলল, এটা জাস্ট সামান্য প্রমাণ, আমি আরও অনেক প্রমাণ হাজির করব সময়মতো। মোট কথা, আপনার বাবা হত্যার প্রতিশোধ নিতেই আপনি এতগুলো ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।
রোকসানা এবার বললেন, কিন্তু শম্পা মানে চৈতালি আসলে মেডিকেলের ছাত্রী না ফিলোসফির ছাত্রী?
কমরেড চৈতালি একজন অত্যন্ত ব্রিলিয়েন্ট স্টুডেন্ট। সে প্রায় অনায়াসেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। বছর খানেক হলো পাশ করে বেরিয়েছে। কিন্তু ওনার চেহারা এমন যে সহজেই ফার্স্ট ইয়ার স্টুডেন্ট হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়। আর ওই সুযোগ নিয়েই উনি মিলির ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ফাজলামো করেছে। তার চেয়ে বড়ো কথা হলো...
কী সেটা?
তার চেয়ে বড়ো কথা হলো, আদর্শ বিচ্যুত অনেকগুলো বিপ্লবী উপদল আবার একত্র হয়েছে। ইনি সেই নতুন দলের অন্যতম নেত্রী। এই নতুন দলের প্রয়োজন প্রচুর ফান্ডিং। আর সে কারণেই প্রফেসরের পেছনে লাগা। কমরেড চৈতালি প্রফেসরকে সিরিয়াস ঝামেলায় ফেলে সব জমি হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন।
এবার প্রফেসর মুখ খুললেন, কিন্তু ওরা জানে না যশোরে আমার সব সম্পত্তি আমি একটা বড় হাসপাতাল বানাবার জন্য এতদিন ধরে টিকিয়ে রেখেছি।
শম্পা সোহানি মানে কমরেড চৈতালী প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে বললেন, প্রফেসর এটা কার কবিতা বলুন তো?
কিন্তু তুমিও যাবে নিভে
জ্বলা আর নেভার
অন্তহীন আবর্তে
তুমিও যাবে হারিয়ে
সীমাহীন মহাকাশে
কেন জানব না! এটা কমরেড সিরাজ শিকদারের কবিতা।
যা, এই প্রথম তোকে একশ’তে একশ’ দিলামরে চান্দু। কিন্তু তোর জমি পার্টিকে দিতেই হবে। না হলে তুমিও যাবে নিভে। জাস্ট ওয়েইট অ্যান্ড সি। আমার লোকরা তোমাকে ছাড়বে না।
দুজন পুলিশ হাতকড়া লাগিয়ে কমরেড চৈতালীকে ওখান থেকে সরিয়ে নিল।
এতদিনে বোঝা গেল শম্পা কী চায়। এখন হাট ভাঙার পালা। মনীষা কাঁদছে প্রফেসরকে দেখে, প্রফেসর কাঁদছে মনীষাকে দেখে, রোকসানা আর মিলি কাঁদছে প্রফেসরের বেদনাময় অতীত কাহিনি জেনে।
ইন্সপেক্টর লাবণি উদাস হয়ে তাকিয়ে আছেন এদের দিকে। উফ, কে জানত আজকের দিনটা এত কান্নাকাটি দিয়ে শেষ হবে?
সমাপ্ত
Leave a Reply
Your identity will not be published.